স্বাধীনতার অব্যবহিত পর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্যার ফজলে হাসান আবেদ—আমাদের আবেদ ভাই—তাঁর বন্ধু ভিকারুল ইসলাম চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন দেশপ্রেমিক নাগরিকের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে ‘ব্র্যাক’, যা আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং ব্যাপকভাবে প্রশংসিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।

আকাশচুম্বী আকাঙ্ক্ষা আর মানব উন্নয়নে অদম্য প্রচেষ্টা ও গবেষণাকর্মের মধ্য দিয়ে পার হওয়া এ প্রতিষ্ঠানের জন্ম ও বেড়ে ওঠার সঙ্গী হয়ে দীর্ঘ সময় নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন অসংখ্য গুণী মানুষ। তাঁদেরই একজন অধ্যাপক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রথমা প্রকাশনা থেকে তাঁর একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ‘আমার ব্র্যাক-জীবন: একজন উন্নয়নকর্মীর বেড়ে ওঠা’ নামে। প্রকাশের পর থেকেই বইটি পড়ার ভীষণ আগ্রহ ছিল এ জন্য যে একজন উন্নয়নকর্মী ও নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক হিসেবে বরাবরই ব্র্যাক আমার কাছে এক অসাধারণ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত আর তার প্রতিষ্ঠাতা আবেদ ভাই, যিনি আমার অনুপ্রেরণার উৎস। আরেকটি কারণ মোশতাক রাজা চৌধুরীর কাজগুলো বিস্তারিতভাবে জানা, যাঁর সঙ্গে কর্মজীবনে সীমিত পরিসরে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে।

একজন নিবিষ্ট জ্ঞানানুসন্ধানী এবং কর্মময় জীবনের এক বর্ণিল পথ চলা মোশতাক চৌধুরী জ্ঞান ও কর্মের পুরোটাই নিবেদন করেছেন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও গবেষণায় এবং দেশের স্বার্থে, বিশেষত সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুক্তির পথে। আর সেই পথচলার প্রায় পুরোটাই ছিল ব্র্যাকের সঙ্গে, আবেদ ভাইয়ের সান্নিধ্যে থেকে। সেই বিস্তৃত অভিজ্ঞতার গল্পই তিনি তুলে ধরেছেন ‘আমার ব্র্যাক-জীবন: একজন উন্নয়নকর্মীর বেড়ে ওঠা’ গ্রন্থটিতে।

গ্রন্থটিতে বর্ণিত হয়েছে বাংলাদেশের সামাজিক অগ্রগতি, বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতের গবেষণা ও রূপান্তরের নানা অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের চোখের সমস্যা সমাধানে চশমা প্রদান থেকে শুরু করে চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় স্বাস্থ্য বিষয়ে নিবিড় গবেষণা, গ্রামীণ কৃষির রূপান্তরে ব্র্যাকের ভূমিকা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতি ও কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবার বৈশ্বিক চিত্র, বিশ্বখ্যাত রকফেলার ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা, স্বাস্থ্য বিষয়ে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলাসহ ব্র্যাকের বিস্তৃত গবেষণা কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়াদির খুঁটিনাটিও ওঠে এসেছে।

কিছু আনুষঙ্গিক লেখাসহ ১৪টি অধ্যায়ের এ গ্রন্থে লেখকের ব্র্যাকের সঙ্গে যুক্ত হওয়া থেকে শুরু করে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, গবেষণাসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখিত হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা ছাপিয়ে প্রধান হয়ে উঠেছে মূলত একজন দেশপ্রেমিক গবেষকের চোখে দেখা দেশীয় ও বৈশ্বিক পরিসরে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নয়নযাত্রার ইতিহাস।

উদাহরণস্বরূপ, আমাদের এ অঞ্চলে ডায়রিয়া-কলেরার সমস্যা অনেক পুরোনো। বিশেষত সত্তর দশকের প্রথম দিকে বছরে প্রায় আড়াই লাখ বাংলাদেশি ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতায় মারা যেত, যার সিংহভাগই ছিল শিশু। সেই জায়গা থেকে ডায়রিয়া-কলেরা রোগীদের পানিশূন্যতা দূর করার জন্য ব্র্যাকের উদ্যোগে আইসিডিডিআরবি উদ্ভাবিত লবণ-গুড়ের তরল খাবার স্যালাইনের ধারণা প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যুগান্তকারী এ পদক্ষেপটি ছিল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে একটি অনন্য অর্জন। স্থানীয় জ্ঞান, বাস্তব চাহিদা, বৈশ্বিক মানদণ্ড, লাগসই প্রযুক্তি—সবকিছুর এক অপূর্ব মেলবন্ধন যেন এ খাবার স্যালাইন আবিষ্কার এবং তার ব্যবহার। লবণ-গুড়ের সহজ ফর্মুলা তৈরি করা, দেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারে বার্তা পৌঁছানো, বদ্ধমূল কুসংস্কার দূর করা, অভ্যাসের পরিবর্তন—এককথায় এক বিপুল কর্মযজ্ঞ ছিল সেই খাবার স্যালাইনের বিস্তার। এই ওরস্যালাইনের ব্যবহার ব্যয়বহুল হওয়ায় ‘ওটেপ’ বা ‘ওরাল’ থেরাপি প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রামের প্রতিটি মাকে লবণ-গুড় স্যালাইন তৈরি নিখুঁতভাবে শেখানোটা ছিল ব্র্যাকের এক যুগান্তকারী কর্মসূচি, যেখানে অনেক বড় অবদান রেখেছেন আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী। এমনকি তাঁর পিএইচডি গবেষণার মূল বিষয়ই ছিল এই ‘ওটেপ’।

এই ওরস্যালাইন বানানোর তথ্য ও দক্ষতা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মোস্তাক রাজা চৌধুরী তাঁর গ্রন্থের ১৩৩ পৃষ্ঠায় কিছুটা আলোকপাত করেছেন এভাবে, ‘“ডায়রিয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা কী?” এই প্রশ্নের উত্তরে ৭০ ভাগের বেশি ছেলেমেয়ে বলেছিল, “মুখে খাওয়ার স্যালাইন।” মজার বিষয় হলো, তাদের মায়েদের যখন খাওয়ার স্যালাইন সম্পর্কে ব্র্যাক ওটেপের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল, তখন এই ছেলেমেয়েদের অনেকের জন্মই হয়নি। এ গবেষণা থেকে উপসংহার টানতে হয় যে স্যালাইন বানানোর তথ্য ও দক্ষতা এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। ইতিহাসে খুব কম স্বাস্থ্যশিক্ষা কার্যক্রম এমন সুদূরপ্রসারী প্রভাব তৈরি করতে পেরেছে।’ আমার বিশ্বাস, গ্রন্থটি যাঁরা পড়বেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে একমত হবেন, গবেষণা কর্মকাণ্ড কীভাবে একটি কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে প্রভাবকের তথা সম্পূরক ভূমিকা রাখতে পারে, তা এতে প্রদর্শিত হয়েছে।

গ্রন্থটিতে বর্ণিত হয়েছে বাংলাদেশের সামাজিক অগ্রগতি, বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতের গবেষণা ও রূপান্তরের নানা অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের চোখের সমস্যা সমাধানে চশমা প্রদান থেকে শুরু করে চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় স্বাস্থ্য বিষয়ে নিবিড় গবেষণা, গ্রামীণ কৃষির রূপান্তরে ব্র্যাকের ভূমিকা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতি ও কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবার বৈশ্বিক চিত্র, বিশ্বখ্যাত রকফেলার ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা, স্বাস্থ্য বিষয়ে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলাসহ ব্র্যাকের বিস্তৃত গবেষণা কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়ের খুঁটিনাটিও উঠে এসেছে।

কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা একটি উৎকৃষ্ট মানের আত্মজীবনী গ্রন্থের বড় বৈশিষ্ট্য হলো এতে নিজের ভূমিকাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রবণতা প্রাধান্য পায় না। বরং সেখানে দলগতভাবে সফলতার নেপথ্যে সহকর্মীদের সংগ্রামের ইতিহাসকেই সামগ্রিকভাবে জীবন্ত করার একটি প্রচেষ্টা থাকে। আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরীর আত্মজীবনী ‘আমার ব্র্যাক-জীবন: একজন উন্নয়নকর্মীর বেড়ে ওঠা’ সেই ধারারই একটি আত্মকথা। অনেক সময় বলা হয়, সৎভাবে আত্মজীবনী লেখা যায় না, তবে মোশতাক রাজা চৌধুরীর গ্রন্থটি পড়ে আমার তেমনটি মনে হয়নি। বরং সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে ব্র্যাককে নিয়ে লেখা একজন নিবিষ্ট গবেষকের প্রথম প্রয়াস ছিল এটি। এর আগে ব্র্যাক নিয়ে রচিত প্রায় সব গ্রন্থের রচয়িতাই ছিলেন ব্র্যাকের বাইরের লোক। সেই নিরিখেও ব্যতিক্রমী এ গ্রন্থ।

কলকাতায় জন্ম নেওয়া মোশতাক রাজা চৌধুরী মৌলভীবাজার ও সিলেটে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। মেধাবী ছাত্র হিসেবে শিক্ষাজীবন শেষে শিক্ষকতা বা সরকারি চাকরি করবেন, এমনটাই আমাদের দেশে প্রথা। প্রথাগত পেশায় না গিয়ে ১৯৭৭ সালে তিনি যোগ দেন ব্র্যাকে। তবে সেদিনের ব্র্যাক আজকের মহিরুহ হয়ে ওঠা বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ছিল না, ব্র্যাকের তখন গড়ে ওঠার সময়।

প্রচারবিমুখ স্যার ফজলে হাসান আবেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজের সূত্রে অনন্য প্রতিভাবান এই মানুষকে অনেক কাছে থেকে দেখেছেন আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী। আবেদ ভাইয়ের চিন্তাচেতনা থেকে শুরু করে কর্মকৌশল, জ্ঞান-প্রজ্ঞা অত্যন্ত কাছাকাছি থেকে দেখেছেন ও শিখেছেন। অজস্র ইতিহাসের সাক্ষী ছিলেন। তাই স্বভাবতই এ গ্রন্থে বিভিন্ন ঘটনার অভিজ্ঞতা-ইতিহাস বর্ণনায় আবেদ ভাইকেও চেনা যায় নতুন করে। আন্তরিক এক কথনভঙ্গি এবং প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় বিধৃত এ গ্রন্থ পাঠককে এক দীর্ঘ উন্নয়ন যাত্রার সঙ্গী করে নেয় অনায়াসে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাকের মহিরুহ হয়ে ওঠার পেছনের গল্পও জানা যায় গ্রন্থটি পড়লে। গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন, আত্মসমালোচনা, সাধারণ মানুষের প্রতি নিবিষ্টতা, লক্ষ্যে অবিচল থাকা, নতুন ভাবনাকে জায়গা করে দেওয়া, কর্মক্ষেত্রে স্বাধীনতা, সৃজনশীলতা—সর্বোপরি সুদৃঢ় জ্ঞানগত ভিত্তি গড়ে তোলা ইত্যাদি ইতিবাচক চর্চার অজস্র উদাহরণও গ্রন্থটিতে ওঠে এসেছে।

গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্ব, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি যথার্থই লিখেছেন, ‘দেশের গৌরবময় ইতিহাসের অংশ হিসেবে এ গ্রন্থ একটি মূল্যবান অবদান রাখবে। উন্নয়ন নিয়ে যাঁরা ভাবেন বা যাঁরা উন্নয়নচর্চা করেন, তাদের জন্য এ গ্রন্থ অনেক নতুন চিন্তার উন্মোচন করবে।’

আমার ব্র্যাকজীবন, একজন উন্নয়ন কর্মীর বেড়ে ওঠা
আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী
প্রকাশক: প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা, প্রকাশকাল: ডিসেম্বর ২০২১, প্রচ্ছদ: মাসুক হেলাল, ২৮৬ পৃষ্ঠা, দাম: ৫৫০ টাকা ।

মোশতাক রাজা চৌধুরীর অবদান শুধু গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, স্বাস্থ্য খাতে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশের অসামান্য অবদানের কথা বিশ্বদরবারে তুলে ধরার ব্যাপারেও তিনি অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৯৩ সালে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশ্ববিখ্যাত ব্রিটিশ সাময়িকী ‘ল্যানসেট’ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ‘বাংলাদেশ: ইনোভেশন ফর ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ (বাংলাদেশ: সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে উদ্ভাবন)’ শিরোনামে একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে, যাতে মোশতাক রাজা চৌধুরীর লেখাসহ ছয়টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। বিশেষ সংখ্যাটির ভূমিকায় সম্পাদকেরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের অর্জনকে ‘বিশ্বস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের রহস্য’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই বিশেষ সংখ্যাটি প্রকাশের ক্ষেত্রে মোশতাক রাজা চৌধুরী বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন।

অত্যন্ত পরিশ্রমী মোশতাক রাজা চৌধুরী সারা জীবন গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। শিক্ষকতা করেছেন কলাম্বিয়াসহ দেশ-বিদেশের বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তীকালে দেশের উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তাঁর লেখা প্রবন্ধ ও গ্রন্থ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রকাশিত হয়েছে, প্রশংসা কুড়িয়েছে গুণীজনদের কাছ থেকে। ‘আমার ব্র্যাক-জীবন: একজন উন্নয়নকর্মীর বেড়ে ওঠা’ গ্রন্থটিতে তিনি যত্নের সঙ্গে তাঁর সেই সুদীর্ঘ পথচলার চিত্র এঁকেছেন। জ্ঞান-গবেষণার ভারী ভারী গ্রন্থগুলোতে যেসব মানুষের কখনো স্থান হয় না, তাদের তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে স্থান দিয়েছেন তাঁর গ্রন্থে। এ ছাড়া সহজ–সাবলীল বর্ণনাভঙ্গি গ্রন্থটিকে করেছে সুখপাঠ্য। আর এসব কারণে একজন ব্যক্তির আত্মকথা হয়েও গ্রন্থটি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তনের ধারাভাষ্য। শুধু উন্নয়নকর্মীর জন্যই নয়, আমি মনে করি, গ্রন্থটি সব পেশার মানুষেরই পড়া জরুরি।

. বদিউল আলম মজুমদার, সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো  | ১৬ মার্চ, ২০২৩