দেশের ঐতিহ্যবাহী সংবাদপত্র দৈনিক ইত্তেফাক জন্মলগ্ন থেকেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে অগ্রণী ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সবসময় গণমাধ্যম হিসেবে গণমানুষের কথা বলে আসছে। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে দৈনিক ইত্তেফাক চিরস্মরণীয় নাম। এটি আজ ৬৯ বছরে পদার্পণ করছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘ইত্তেফাক বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে যে চেতনাবোধ কাজ করেছে, যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কাজ করেছে,  তা সৃষ্টির পেছনে ইত্তেফাকের অবদান অপরিসীম।’

ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মালিক, কর্মরত সাংবাদিক ও সব পাঠককে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’  

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ইত্তেফাকের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ইত্তেফাকের বলিষ্ঠ লেখনি ও সাংবাদিকতা, বিশেষত মুসাফির কলামের মাধ্যমে এদেশের বিরাট জনগোষ্ঠী অনুপ্রাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছে ইত্তেফাক।’

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘১৯৬২ সালে আমি যখন দশম শ্রেণিতে পড়ি, তখন আমি ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত হই। এর পেছনে অনুপ্রাণিত ছিল মুসাফিরের কলাম। আমাকে যে গণমাধ্যম সচেতন করেছে, সেটি হলো ইত্তেফাক। মুসাফিরের কলাম পড়েই আমি জেনেছি আমরা কিভাবে বঞ্চনার শিকার হয়েছি। কিভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছি। সেটাই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে, অনুপ্রাণিত করেছে  আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য।’

পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমার যে প্রতিবাদী কণ্ঠ এখন, এই প্রতিবাদী কণ্ঠ হওয়ার পেছনে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া এবং ইত্তেফাকের বিরাট অবদান রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি মানিক মিয়ার প্রতি। তার এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জানাই।’

ইত্তেফাকের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি আশা করি ইত্তেফাক ভবিষ্যতেও তরুণ প্রজন্মকে সচেতন, প্রতিবাদী ও তাদের ন্যায্য অধিকার পাওয়ার ব্যাপারে সোচ্চার হতে ভূমিকা রাখবে।’

তথ্য সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক | ২৪ ডিসেম্বর ২০২১